বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাভাবিক কার্যক্রম। গত ১৯ দিন ধরে চলছে এ কর্মবিরতি।
এদিকে তাদের ১০ দফা দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে রোববার, ৩১ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশে মঞ্চ তৈরী করে এবার আন্দোলন শুরু করেছে কর্মচারীরা।
কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে না নেয়া পযর্ন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলতেই থাকবে।’
বরাবরের মতো এসব বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ করেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কমিলমউল্লাহ ও রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী পরিচালক তাবিউর রহমান বলেন, কর্মচারীদের কিছু দাবী ইতোমধ্যে পূরণ হয়েছে। আর কিছু অযৌক্তিক দাবী মেনে নেওয়া সম্ভব না। আর প্রশাসনের আশ্বাসের পরেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।’
কর্মচারীদের দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে, আগামী সিন্ডিকেটের আগে কর্মচারীদের নীতিমালা পাশ, ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া পরিশোধ, দ্রুত পেনশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীদের চাকরীতে পুনর্বহাল, দূরের কর্মচারীদের জন্য গাড়ি ও আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতিকে লাঞ্চিত করার ঘটনার বিচার করা, কর্মচারী নিয়োগ কমিটিতে কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি রাখা ও মাস্টারোল কর্মচারীদের চাকরী স্থায়ী করণ।
এইচএ/রাতদিন