ভারতে ভয়াবহ করোনা: ১লাখ শনাক্ত ১১৫ দিনে, শেষ ৪৯ দিনেই ৬ লাখ আক্রান্ত

বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ১৯ হাজারের বেশি। এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যায় রাশিয়াকে পেছনে ফেলে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গেছে ভারত।

মঙ্গলবার, ৭ জুলাই রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার পর ভারতে এখন সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

অন্যদিকে মঙ্গলবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক দিনে আরও ২০ হাজার ১৬০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে সেখানে। তাতে ১শ’ কোটি ৩০ লাখ মানুষের এই দেশে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৫ জন।

এই সময়ে করোনাভাইরাসে আরও ৪৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২০ হাজার ১৬০ জনের।

ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকলেও প্রতি দশ হাজারে মৃত্যু হারের বিবেচনায় এখনও তা বেশ কম। ভারতে প্রতি দশ হাজারে মৃত্যু হার এখন শূন্য দশমিক ১৫, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ৩ দশমিক ৯৭, যুক্তরাজ্যে ৬ দশমিক ৬৫।

গত ৩০ জানুয়ারি কেরালায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১১০ দিন।

মার্চের শেষে ভারতজুড়ে দেয়া কঠোর লকডাউনের কারণে দেশটিতে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত জনসংখ্যা অনুপাতে রোগী মিলছিল কমই। কিন্তু লকডাউন শিথিলের পর থেকে পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে যায়।

শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক থেকে দুই লাখে পৌঁছায় মাত্র ১৫ দিনে। এরপর দুই থেকে তিন লাখে ১০ দিনে, তিন থেকে চার লাখে ৮ দিনে, চার থেকে পাঁচ লাখে ৬ দিন, পাঁচ থেকে ছয় লাখে পৌঁছাতে ৫ দিন সময় লাগে। শেষ এক লাখ যোগ হতেও মাত্র ৫ দিনই সময় লেগেছে।