ভৌগলিক কারনে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সাথে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে দীর্ঘদিন ধরে। পাকিস্তানের সাথে সে তুলনায় সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে তলানীতে পৌছেছে।
এ অবস্থায় দুদেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উপর এর প্রভাব অবশ্যম্ভাবী। তবে ঠিক কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তার বিশ্লেষনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে দিয়েছেন নানান মত।
দক্ষিন এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এ উত্তেজনার প্রভাব স্বীকার করে সাবেক রাষ্ট্রদুত হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘অবশ্যই আমরা বিনিয়োগের কথা ভাবি, ব্যবসা বাণিজ্যের কথা ভাবি, বাইরে লোক পাঠানোর কথা বলি- এইসব বিষয়গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কূটনৈতিকভাবে এটা একটা বড় জায়গা।”
যদিও তিনি উল্লেখ করেছেন, এ দুটি দেশের সাথে বাংলাদেশের ব্যাপক বানিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, “আপাতত বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর কোন কিছু না হলেও সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে বাণিজ্যিক যেসব সুযোগ-সুবিধা পেতে পারতো সেটাতে এই চলমান উত্তেজনা একটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করলো বাংলাদেশের জন্য।”
সার্কের সদস্য হিসেবে নানা রকম অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা চলছে, সেখানে সব সময় ভারত এবং পাকিস্তানের ইস্যু এক ধরণের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়- যোগ করেন সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী।
পুলওয়ামা হামলায় বাংলাদেশের নিন্দা জ্ঞাপনকে সমর্থন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রোকসানা কিবরিয়া বলেন, ”এটা দ্বারা ভারতকে সমর্থন করছে এটা সরাসরি বলা যাবে না।”
তিনি এর সাথে যোগ করে বলেন, চলমান উত্তেজনা, রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের উপর কতটা প্রভাব পরবে সেটা বোঝা যাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান এবং প্রতিক্রিয়া কী সেটা দেখা।
তবে অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহেমেদ বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, যদি উত্তেজনা বাড়তে থাকে তাহলে ভারত-পাকিস্তান যে পণ্যগুলো উভয় দেশ থেকে আমদানি করতো, সেসব পণ্য পাশের দেশে হিসেবে বাংলাদেশ থেকে নিতে পারে এমন সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে।
আরআই/রাতদিন