ভারত সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট, কাশ্মিরকেন্দ্রিক আলোচনা পরিহারের চেষ্টা

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি ঘরোয়া বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর শি জিনপিংয়ের বিমান চেন্নাই বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরে বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বিমানবন্দরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও চীনের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে স্বাগত জানাতে মহাবলীপুরমে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে করমর্দন করে তাঁকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এ সময় দক্ষিণ ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথম তাঁকে এমন পোশাক পরতে দেখা গেছে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে সংঘাতহীন রাখতে আরও আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ,  সন্ত্রাস ও পরিবেশ দূষণ দমনে বাড়তি সহযোগিতা, সর্বোপরি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারতের ঘাটতি কমানোর বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে চাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উভয়নেতার আলোচনাকে কাশ্মীর-কেন্দ্রিকতা থেকে বের  করে আনার চেষ্টা চলছে।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেইজিং সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি  জিনফিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে গত বুধবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, তারা  কাশ্মীরের পরিস্থিতির উপরে ‘কড়া নজর’ রাখছে এবং তারা চায় জাতিসঙ্ঘের সনদ এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে শান্তিপূর্ণভাবে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হোক।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার অবশ্য চীনের মন্তব্যের পাল্টা জবাবে বলেন,  ‘আমরা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতের খবর পেয়েছি। দু’জনের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কথা হয়েছে বলেও শুনেছি। জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চীন আমাদের অবস্থান জানে। অন্য কোনও রাষ্ট্রের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলা উচিত নয়।’

এভাবে পাল্টাপাল্টি বিবৃতির মধ্যে এখন চীনের প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের দিকেই কূটনৈতিক মহলের নজর রয়েছে।

জেএম/রাতদিন.নিউজ