ভালোবেসে বিয়ে করে বিপাকে পড়েছেন চন্দন-তিথি

ভালোবেসে বিয়ে করে বিপাকে পড়েছেন চন্দন-তিথি নবদম্পতি। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এই দম্পতি এখন পুলিশি হয়রানি ও মামলার কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের দাবি, দীর্ঘদিনের পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা দু’জন। কিন্তু অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ তুলে পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে তাদের।

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের বিবাহ বন্ধনকে সম্পূর্ণ বৈধ দাবি করেন চন্দন কুমার রায় ও তার স্ত্রী তিথি রানী রায়। তারা কেউ কাউকে অপহরণ করেননি বরং স্বজ্ঞানে, স্বইচ্ছায় বিয়ে করেছেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অনার্স পড়ুয়া তিথি রানী রায় বলেন, ‘আমার স্বামী চন্দন কুমার রায়। আমাদের দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমরা গত ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারি বিধি মোতাবেক হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী রেজিস্টার ও এফিডেভিট করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। কেউ আমাকে বা আমাদেরকে প্ররোচিত ও অপহরণ করেনি।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার স্বামীকে পেয়ে খুবই খুশি। আমি এখন শ্বশুরবাড়িতে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে সুখে সংসার করতে চাই। এজন্য আমার বাবা সুধীর চন্দ্র রায় এবং চাচাসহ পরিবারের সকলের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি। আমার বিয়ে সংসার নিয়ে কেউ যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা বা বিবাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য থাকবো।’

অন্যদিকে তিথির স্বামী চন্দন কুমার রায় বলেন, “আমরা দুজন একই গ্রামের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই একে অপরকে চিনি। অনেক দিনের চেনাজানা, ভালো লাগা ও ভালোবাসার সম্পর্ককে চিরস্থায়ী করতে দাম্পত্য জীবন গড়ার লক্ষ্যে আমরা বিয়ে করেছি। কিন্তু এখন মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারে আমরা দুজন বিপাকে পড়েছি।”

সংবাদ সম্মেলনে এই নবদম্পতি পুলিশি হয়রানি ও মামলার ভয়ভীতি থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের কাছে সহায়তা চান।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র চন্দন কুমার রায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল শিয়াল খোওয়া গ্রামের অনিল কুমার রায়ের ছেলে। একই গ্রামের সুধীর চন্দ্র রায়ের মেয়ে তিথি রানী রায়। তিনি রংপুরে সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের দর্শন বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

এনএ/রাতদিন