অতি কষ্টে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রতিবন্ধী মাফিজুল ইসলাম। সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সদস্যের সংসার চালাতে গিয়ে মাঝে মধ্যে জীবন বড় বিষাদময় হয়ে ওঠে। তবুও নিরন্ন এই সংসারের ঘানি টেনেই চলেছেন তিনি, যুগের পর যুগ।
পার্বতীপুর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের হয়বতপুর, মৌলভী পাড়ায় এক হত-দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। বাবা ফজলুর রহমান, মা মাবিয়া খাতুন।
জন্মের তিন বছর বয়সে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে চিরজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান তিনি। বর্তমানে পরিবারের এক মাত্র উপার্জক মাফিজুল ইসলাম ভাড়ায় নেয়া ভ্যান চালিয়ে যা উপার্জন করেন তা-দিয়ে ৫ সদস্যের পরিবার চালাতে তাকে হিমসিম খেতে হয়।
তবু তার জীবন যুদ্ধ থেমে নেই, শত কষ্টেও ছেলে মেয়েকে সুশিক্ষিত করার জন্য প্রাণপনে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।তার স্বপ্ন সন্তানদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা। তার মেয়ে মোমিতা আক্তার মেঘলা (১৬) ২০২১-২২ ইং শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ছেলে সন্তান আকাশ বাবু(১০) ৩য় শ্রেণীতে পড়ছে। স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন ও তার বিধবা মা মাবিয়া খাতুন কে নিয়ে পাঁচ সদস্যের সংসার। অভাব অনটন যেন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
বাবার রেখে যাওয়া ১খন্ড ভিটে মাটি ও একটি মাটির ঘর ছাড়া তার কোন সম্পদ নেই। তার জীবণ জীবিকার একমাত্র অবলম্বন এই ভ্যান ও প্রতিবন্ধী ভাতা ২২৫০ টাকা। ভ্যান চালিয়ে যে অর্থ উপার্জন করেন তাদিয়ে কোনরকম লবণ ভাতের ব্যবস্থা হয় বলে তিনি জানান। কিন্ত সন্তানদের লেখাপড়া ও অসুস্থ্য মায়ের খরচ চালানো তার জন্য রীতিমত কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
প্রতিবন্ধী মাফিজুল সন্তানদের লেখাপড়ার খরচের টাকার জন্য আশা ও গ্রামীণ ব্যংক মন্মথপুর শাখা এনজিওতে ঋণ নিতে গেলে সে প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রতিটি এনজিও প্রতিষ্ঠান ঋণ দিতে অনিহা প্রকাশ করে বলে তিনি জানান।
জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য প্রতিবন্ধী মাফিজুল লজ্জা সরম ভুলে সরকার ও সমাজের বিত্তবান মহলের নিকট সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য করতে চাইলে তার তার নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন তিনি। তার মোবাইল ও বিকাশ নং ০১৭৫১৩১৯৪২৭।