খেয়াল, ঠুমরী, গজল, কাওয়ালী, লোকসংগীত এরকম ধ্রুপদী সংগীতের মায়াময় পরিবেশনাসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হলো সৈয়দপুর ধ্রুপদী সংগীত বিদ্যালয়ের যুগপূর্তি উৎসব। শুক্রবার, ১৫ মার্চ শহরের মর্তুজা মিলনায়তনে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। প্রথম পর্বে ছিল আলোচনা সভা এবং দ্বিতীয় পর্বে ছিল সংগীতানুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘সা রে গা মা পা ধা নি’ নামে সাতটি মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস্ সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী কলেজের অধ্যক্ষ ড. আমির আলী আজাদ এবং বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শহীদুল ইসলাম খাঁন।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মো. মঈনুল হাসান প্রামানিক খোকন।
দ্বিতীয় পর্বে সংগীতায়োজনে ধ্রুপদী সংগীত বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা দেশের গান, ছড়াগান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুলগীতি ও লোকগীতি পরিবেশন করে। আর সংগীত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মো. মঈনুল হাসান প্রমানিক খোকন খেয়াল, ঠুমরী ও গজল পরিবেশেন করেন। এ ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শহীদুল ইসলাম খান খেয়াল ও কাওয়ালী, ফরহাদ আহমেদ গজল এবং তাপস ও নেপাল সমবেত কন্ঠে লোকসংগীত পরিবেশন করেন।
সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজের শিক্ষিকা ইসমত জেরিন মান্নান সঞ্চালিত এ অনুষ্ঠানে সৈয়দপুর উপজেল চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগীত বিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যক্ষ সাবেরা খাতুন বাবলী, সাংবাদিক, সংগীত শিল্পী, শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা।
সৈয়দপুর শহরের পুরাতন বাবুপাড়াস্থ ইন্টারনাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ মো. শাবাহাত আলী সাব্বু তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দীর্ঘদিন পর একটি মনোমুগ্ধকর সংগীত অনুষ্ঠান উপভোগ করলাম। সংগীতের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো মাঝে মধ্যে এমন ধ্রুপদী সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সৈয়দপুর শহরের প্রখ্যাত উচ্চাত সংগীত শিল্পী মো. মঈনুল হাসান প্রামানিক খোকন নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। নয়াটোলা এলাকায় ২০০৭ সালে ধ্রুপদী এই সংগীত বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
আরআই/রাতদিন