যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন শাখাকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট।
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি বিল দেশটির পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। মার্কিন হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কাসিম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পরই এ পদক্ষেপ নিলো দেশটির সংসদ সদস্যরা।
শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভ্যলুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর প্রধান সোলেইমানি। ইরানের দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে হত্যার বিষয়টি সরাসরি দেখভাল করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা নতুন করে উসকে পড়ে। সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের চরম প্রতিশোধের ঘোষণা এরই মধ্যে দিয়েছে ইরান। তবে, ওয়াশিংটনও পাল্টা হুমকি দিয়ে রেখেছে তেহরানের প্রতিশোধের ঘোষণা শুনে।
এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন শাখাকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করলো ইরান। মঙ্গলবার পাস হওয়া বিলটিতয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্য, প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তা ও অন্যান্য অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মকর্তাদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সোলেইমানিকে হত্যায় যারা সিদ্ধান্ত দিয়েছে তাদেরকেও। তবে, বিলটিতে সোলেইমানিকে হত্যার আদেশদাতা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কিনা তা জানায়নি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
বিলটিতে বলা হয়, ‘এসব বাহিনীকে (মার্কিন সামরিক বাহিনী) সামরিকভাবে, গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে, আর্থিকভাবে, কারিগরীভাবে, সেবা বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সহায়তাসহ যে কোনো সহায়তা দেয়াকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহায়তা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’
বিলটির মাধ্যমে আইআরজিসির বিদেশ শাখা কুদস ফোর্সের শক্তি বাড়াতে ২২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।