রংপুরের মিঠাপুকুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে একটি পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আহত মা ও মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। উপজলার জায়গীরহাট এলাকার ঈদুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
পরিবার ও পুলিশ জানায়, ঈদুলপুর গ্রামের সরকারি জমিতে প্রায় ৪০ বছর ধরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৩০-৪০টি পরিবারের বসবাস। শুক্রবার বিকেলে রতন চদ্র মহন্তের বাড়ির পাশে অবস্থিত কয়েকটি গোডাউন ঘরের সামনে জায়গীরহাট মাল্টি পারপাস সোসাইটির সাইনবার্ড লাগাতে যান আওয়ামী লীগের নেতা তোজাম্মেল হোসেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বলে জানা গেছে। ওই সময় রতনের স্ত্রী অঞ্জলী রানী (৪৫) সাইনবার্ড লাগানার বিষয়টি জানতে চাইলে তাকে অতর্কিতভাবে মারপিট শুরু করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অঞ্জলীর মেয়ে কলেজছাত্রী সমাপ্তী রানী বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে মাকে বাঁচানার চেষ্টা করলে তার ওপরও হামলা করে তারা।
স্থানীয়রা জানান, জায়গীরহাট গরুহাটি সংলগ্ন জায়গাটিকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে ওই মাল্টিপারপাস সোসাইটির দীর্ঘ ১৫-২০ বছর থেকে কোনো কার্যক্রম নেই। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হোসেন ওই মাল্টিপারপাস সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর সম্পত্তি দখলের উদ্দশ্যে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের সাথে কোনো প্রকার আলাচনা ছাড়াই দলবল নিয়ে সোসাইটির সাইনবার্ড লাগাতে যান। এসময় হিন্দু পরিবারের সাথে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে মা ও মেয়ের ওপর হামলা চালায়। এর ফলে তারা আহত হন।
আওয়ামী লীগ নেতা তোজাম্মেল হোসন বলেন, জমিটি সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন প্রাপ্ত জায়গীরহাট মাল্টিপারপাস সোসাইটির। দীর্ঘদিন সোসাইটির কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও নতুন করে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করায় আমি সেখান সাইনবার্ড লাগাতে গিয়েছি।
অঞ্জলী রানী ও সমাপ্তী রানীকে মারপিটের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন সম্মানী ব্যক্তি। তারা আমার সাথে খারাপ আরণ করেছে। আমি কারো গায়ে হাত দেইনি।
মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এইচএ/রাতদিন