যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত হলো ‘সা রে গা মা পা’র দ্বিতীয় রানারআপ বিজয়ী মাঈনুল আহসান নোবেলের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। তবে সঙ্গীতানুষ্ঠানে আশানুরূপ লোক সমাগম না হওয়ায় হতাশ হয়েছেন শিল্পীসহ আয়োজকরা।
শনিবার, ৩১ আগস্ট বাংলাদেশি ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলির আয়োজনে ম্যানচেস্টারের ইস্ট ক্যাথলিক হাইস্কুলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নোবেলের ‘একক সঙ্গীত সন্ধ্যা’ হিসেবে প্রচার করা হলেও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে অনুষ্ঠানে আরও দুজন শিল্পী সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। যা ‘দৃষ্টিকটু’ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। নির্দিষ্ট সময়ের ২ ঘণ্টা বিলম্বে শুরু হয়ে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান।
টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয় জনপ্রতি ২০ ও ভিআইপি ৫০ ডলার হারে ।
আয়োজকরা চার শতাধিক দর্শক আশা করেছিলেন কিন্তু মাত্র দুইশোর মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশি ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলির অন্যতম কর্মকর্তা সাদ চৌধুরী বাবু।
ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি বাংলায় গানের রিয়েলিটি শোতে বাবার প্রতি ভালোবাসার জেমসের সেই বিখ্যাত ‘বাবা গান’ দিয়েই শুরু করেন নোবেল।
`সা রে গা মা পা’র দ্বিতীয় রানারআপ বিজয়ী হবার পর মাঈনুল আহসান নোবেলের দেশের বাইরে এবং যুক্তরাষ্ট্রে এটাই প্রথম সঙ্গীতানুষ্ঠান। দর্শক উপস্থিতি কম দেখে আয়োজকবৃন্দের পাশাপাশি শিল্পী নিজেও হতাশ হয়ে পড়েন।
এ প্রসঙ্গে দর্শকদের উদ্দেশে নোবেল বলেন, ‘আগামীতে আবারও কানেকটিকাটে আসব, তখন যেন দর্শক সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়।‘ উপস্থিত অনেক দর্শক নগর বাউল জেমসের গাওয়া ‘বাংলাদেশ’ গানটি গাওয়ার অনুরোধ করলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গানটি নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে, তাই তিনি এ গানটি আর গাইবেন না।’
গোপালগঞ্জের সন্তান নোবেল ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে মিতালি গড়েছেন। কোনো গুরুর কাছে শিক্ষা না নিলেও আগে বাংলালিংক নেক্সট টিউবার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সেরা ৬-এ এসেছিলেন তিনি।