রংপুরের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল আর নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
সোমবার, ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরুন্নবী লাইজু বলেন, তৌহিদুর রহমান টুটুলের হৃদরোগ ছিল। সোমবার সকালে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
টুটুল রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার আগে দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক, ডায়াবেটিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। একাধারে বিভিন্ন ক্রীড়া, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
টুটুল নব্বইয়ের দশকের পর থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির করছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে রংপুরের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা নিয়ে রাজনীতিতে সবর ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
কারমাইকেল কলেজে পড়া অবস্থায় বাম সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করতেন। দল, মত নির্বিশেষে সবার কাছে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল।
করোনা সংকটের সময়ে রোববার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজ এলাকা সেনপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন টুটুল। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে টুটুলের মৃত্যুতে রংপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল বলে মনে করছেন তার সহকর্মী ও ভক্ত-অনুরাগীরা।
তার মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর জেলা প্রশাসক ও শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি আসিব আহসান এবং আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন ও নগরীর বিভিন্ন ক্রীড়া, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।