রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ এখন জিআই পণ্য

রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চালসহ নতুন ছয়টি পণ্য দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন করে ছয়টি পণ্যের জিআই নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। এর আগে জামদানি, ইলিশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতি আম জিআই হিসাবে নিবন্ধন পেয়েছিল।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) জানিয়েছে, জামদানি, ইলিশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতি আমের পরে এবার রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই জামদানি, শতরঞ্জি, চিনিগুঁড়া চাল, দিনাজপুরের কাটারিভোগ এবং বিজয়পুরের সাদা মাটি জিআই পেয়েছে।

অনলাইন সংবাদমাধ্যম জাগোনিউজ এ খবর প্রকাশ করেছে।

ডিপিডিটি রেজিস্ট্রার আবদুস সাত্তার সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, নতুন ছয় পণ্যের জিআই অনুমোদন হয়েছে। ২৬ এপ্রিল মেধাস্বত্ব দিবসে বড় পরিসরে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চূড়ান্ত সনদ দেয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। অনুষ্ঠানটি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে এক সময় হবে।

তিনি আরও জানান, এগুলোর জিআই আবেদন অনুমোদন করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের স্ট্যান্ডার্ডগুলো যাচাই-বাছাই করে সনদ দেয়া হয়েছে। এখন সেটা তাদের বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য সুবিধা হবে।

প্রসঙ্গত, কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং ওই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ সেই পণ্য শুধু ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন করা সম্ভব নয়। জিআই একটি পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ ট্রেডমার্ক যেমন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় পরিচিতি দেয়, জিআই একটি দেশের নির্দিষ্ট পণ্যকে পরিচিতি প্রদান করে। জিআই পণ্যের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বিশ্ববাজারে পণ্যটির ব্রান্ডিংয়ে, যা সমমানের অন্য যেকোনো পণ্য থেকে জিআই পণ্যকে এগিয়ে রাখে।

এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক সামগ্রী হিসেবে স্বীকৃতি পায় জামদানি। পরের বছর ইলিশ এবং ২০১৯ সালে ক্ষীরষাপাতি আমকে জিআই স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে তিনটি পণ্য এ তালিকায় ছিল।

এইচএ/রাতদিন

মতামত দিন