রংপুরে আলো নিভিয়ে রাস্তায় মানুষ, জুয়েল হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি

সন্ধ্যা সাতটা পাঁচ মিনিট। রংপুর নগরীর পুরো শালবন এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত। না, লোডশেডিং নয়। প্রায় তিন হাজার বাড়ির বাসীন্দারা নিজেরাই আলো নিভিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন আজ বুধবার, ৪ নভেম্বর।

লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গত বৃহস্পতিবার শালবনের বাসীন্দা আবু ইফনুছ সহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার তাবিতে লোকজন এ কর্মসূচি পালন করেন। পাঁচ মিনিটের কথা বলেও ওই এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল ১০ মিনিট।

ঘরের বাতি বন্ধ রেখে নারী, পুরুষ ও শিশুরা রাস্তায় নেমে আসেন শালবন এলাকার বাসীন্দারা। এতে যোগ দিয়েছিলেন নিহত জুয়েলের স্ত্রী, কন্যা ও স্বজনরাও। আর ভাঙ্গা পা নিয়েও রাস্তায় এসেছিল নিহত জুয়েলের ছেল।

এসময় নানা ধরণের শ্লোগানসহ দোষীদের গ্রেপ্তার দাবি জানানো হয়।

শালবন এলাকার সাবেক কমিশনার ইকবাল শহিদুল আক্তার ফিরোজ ও সমাজসেবক আব্দুর রউফ জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি জুয়েলের মৃত্যুতে তার স্ত্রী ও সন্তানরা এখন অসহায়। তারা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় শালবন মহল্লার লোকজন বিক্ষোভ মিছিল করবেন। পরে তারা স্মারকলিপি প্রদান করবেন। অপরদিকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহল্লার সকল দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

এবি/রাতদিন