দীর্ঘ তের বছর পর রংপুর জেলা ও নয় বছর পর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়েছে। বহুল প্রতীক্ষার এই সম্মেলন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর বেলা ১২টা ৩০মিনিটে সম্মেলন শুরু হয়। এর আগে টাউন হল চত্বরে ১২টা ২০ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সসড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে বেলুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সম্মেলনের উদ্বোধক বাবু রমেশ চন্দ্র সেন।
এদিকে সকাল থেকে মিছিল শ্লেগানে মুখরিত হয়ে উঠে সম্মেলনস্থল পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ। রংপুর জেলা ও মহানগরের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো সম্মেলনস্থল। কাউন্সিলদের মধ্যে চাপা আনন্দ ও উচ্ছাস দেখা যায়।
দুপুর সাড়ে বারোটায় মঞ্চে উঠেন সম্মেলনে যোগ দিতে আসা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডলের পরিচালনায় সম্মেলনে শুরু হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন আওামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।
জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেলন, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক টিপু মুনশি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারী রেজাউল করিম রাজু ও মহানগর সভাপতি সাফিউর রহমান সফি। সম্মেলন উপস্থাপনা করেন মহানগর সেক্রেটারী তুষারকান্তি মন্ডল, মহানগরের সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি প্রমুখ।
বিকেল তিনটার পর টাউন হল মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় একই মিলনায়তনে মহানগরের কাউন্সিল হবে। এতে জেলা ও মহানগরের প্রায় চার শতাধিক কাউন্সিল তাদের মত প্রকাশ বা ভোট প্রদানের সুযোগ পাবেন। তবে সম্মেলনস্থলে চাউর হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতারাই নির্ধারণ করবেন কারা হচ্ছেন আগামী তিন বছরের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এনএ/রাতদিন