রংপুরের তারাগঞ্জে আতিকুর রহমান (২৯) নামের এক মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী ওই ইমামকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। এই ঘটনায় ওই শিশুর বাবা তারাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে।
বর্তমানে শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত ওই ইমাম তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম ওসমান গণি।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ওই ইমাম মসজিদের পাশেই তিনি একটি ঘরে একাই রাত্রিযাপন করতেন। মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি তিনি ওই ঘরে সকালে শিশুদের আরবি শিখাতেন।
বুধবার, ৪ অক্টোবর সকালে অন্য শিশুদের সাথে ওই শিশুও ইমামের কাছে আরবি শিখতে যায়। ইমাম অন্য শিশুদের ছুটি দিলেও ওই শিশুকে আরও পড়া শেখাবেন বলে থাকতে বলেন। একপর্যায়ে ওই শিশুকে ইমাম ধর্ষণ করেন।
ঘটনাটি কাউকে জানালে জ্বীন লাগিয়ে মেরে ফেলবেন বলে ওই শিশুকে হুমকি দেন। ফলে শিশুটি বাসায় ফিরে ঘটনাটি কাউকে জানায়নি।
বিকাল ৪টার দিকে ওই শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটির মা তার কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পারেন। এরপর ওই শিশুকে প্রথমে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
তারাগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে ওই ইমামকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরআই /রাতদিন