রংপুরে করোনা পরিস্থিতির ক্রম অবনতির প্রেক্ষাপটে আবারও কড়াকড়ি অবস্থান নিচ্ছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। নগরীতে যানজট নিরসন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, অহেতুক ঘোরাঘুরি বন্ধে ও জনগনের নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। তবে সাম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষাপটে সচেতনতা সৃষ্টিতে নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে আরপিএমপি।
নগরীর মেট্রোপলিটন এলাকায় ছয়টি থানার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও প্রধান সড়কগুলোর প্রবেশ মুখ বন্ধ করে বসানো হয়েছে পুলিশি চেক পোস্ট। দিন-রাত প্রতিটি চেক পোস্টে কঠোর অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ সদস্যরা। অহেতুক বের হলে বা কারো গতিবিধি সন্দেহজনক হলে চেক পোস্টগুলোতে জেরা করা হচ্ছে, করা হচ্ছে মামলা-জরিমানা।
পুলিশের দাবি, জরিমানার ভয়ে সড়কে যান চলাচল এবং অহেতুক ঘোরাফেরা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি নগরে যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৯ মে দুপুরে নগরীর মর্ডাণ মোড়, কাচারী বাজার, মেডিকেল মোড় ও শাপলা চত্বরে চেক পোস্টে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহীদের জেরা করেছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
এভাবে প্রতিদিন নগরীর পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানী মোড়, বাংলাদেশ ব্যাক মোড়, টার্মিনাল, নাজিরেরহাট ঘাঘট বিজ্র, শালবন ইন্দার মোড়, মডার্ণ মোড়, মেডিকেল মোড়, সাতমাথা, মাহিগঞ্জ, লালবাগ, পার্কের মোড়, দমদমা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ চেস্টপোস্ট বসিয়ে প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া পথচারী ও যানবাহনে থাকা যাত্রীদের জেরা করেছে পুলিশ। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরার্মশও দিচ্ছেন।
এব্যাপারে আরপিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) মো: মহিদুল ইসলাম বলেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার স্যারের নির্দেশে যানজট নিরশন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জনগনের নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছে পুলিশ। সেই ধারাবাহিতকায় মঙ্গলবার বিভিন্ন প্রবেশ পথে ব্যাড়িকেট দিয়ে নগরীতে প্রবেশ বন্ধ এলাকার বিভিন্ন সড়ক লকডাউন করা হয়েছে।
প্রয়োজন ছাড়া যে সকল মানুষজন গাড়ি, মোটরসাইকেল নিয়ে নগরীতে ঘোরাফেরা বন্ধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এতে করে অহেতুক ঘোরাফেরা বন্ধ হবার পাশাপাশি মামলা জরিমানার ভয়ে অনেকেই বাহিরে বের হবে না- এমন ধারনা থেকে এই উদ্যোগ বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জেএম/রাতদিন