রংপুরে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৬ যুবক

পুলিশের পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাতে দোকান খোলা রাখায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে দোকানদারদের কাছে চাঁদা দাবী করে ওই যুবকরা।

শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল রাতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকায় মোমিন মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে পীরগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামের ৬ যুবক ২টি মোটর সাইকেলযোগে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি মোড়ের গ্রাম্য বাজার ‘মমিন মার্কেটে’ যায়। সেখানে তারা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে এতো রাতে দোকান খোলা কেন ? মুখে মাস্ক নেই কেন ? সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না কেন, এমন অভিযোগ এনে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ি ও পথচারীদের মাঝে আতংক ও ত্রাস সৃষ্টি করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।

ওই এলাকার এক ওষুধ ব্যবসায়ী কথিত পুলিশ সদস্যদের চিনতে পেরে চিৎকার করে বলে যে এরা ‘পুলিশ নয়’। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে কথিত পুলিশরা মোটর সাইকেলযোগে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এরপর এলাকাবাসী ধাওয়া করে রায়পুর ইউনিয়নের মুন্সির বাজার থেকে ৩ জনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। অপর ৩ জন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে। এরা হচ্ছে, পীরগঞ্জ থানাপাড়ার সাইফুল আজাদের ছেলে ইয়াতিমুল ইসলাম অলিন (২০), আব্দুল হালিম মন্ডলের ছেলে জিসান মন্ডল (২২) তৈয়বুর রহমানের ছেলে আহসান হাবিব বিপু (২১)।

পুলিশের কাছে দেয়া গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলো, সর্দারপাড়ার মৃত মমতাজ সর্দারের ছেলে মওদুদ আহাম্মেদ বিপ্লব সর্দার (৩৫), ধনশালা উত্তরপাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে মেহেদি হাসান শাওন (২০) ও প্রজাপাড়ার প্রদীপ চন্দ্র সরকারের ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র সরকার (২৫)।

এ ঘটনায় ওই বাজারের মন্ডল ফার্মেসির মালিক রুহুল আমিন বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে রাতেই মামলা করেছেন।

ওসি সরেস চন্দ্র জানান, ঘটনায় সম্পৃক্ত সকল অপরাধিকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বিপ্লব ছাড়া সকলেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।