রংপুরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রন ও মশা নিধনে জোড় তৎপরতা

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রন ও মশক নিধনে রংপুরে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ জোড় দেয়া হয়েছে মশক নিধনের উপর। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে চালানো হচ্ছে জোড় তৎপরতা। পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত শ্রমিক। মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে ওষুধ।

সিটি করোপোরেশনের পক্ষ থেকে নেয়া পদক্ষেপের বিষয়ে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, ‘গত ২৫ জুলাই থেকে নগরীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানামুখি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মশক নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক নানাবিধ পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। সেসব মাঠে চলমান আছে।’

তিনি সচেতন এবং শিক্ষিত সকল মানুষকে নিজ থেকে উদ্যোগী হয়ে ডেঙ্গু সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করার আহবান জানান।

সিটি মেয়রের একান্ত সহকারী সচিব কাজী জাহিদ হোসেন লুসিড জানান, ২৫ জুলাই থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধনের উপর সর্বোচ্চ জোড় দিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মেয়র, সকল কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ সকল বিভাগের সাথে সভা করে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম চলছে।

নগরীতে শোভাযাত্রা, ব্যানার, ফেস্টুন সাটানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৪০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ১০টি করে মাইকে চলছে প্রচারণা। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ০৬ জন করে ৩৩টি ওয়ার্ডে  মোট ১৯৮ জন শ্রমিক ঝোপঝাড় এবং নর্দমা পরিস্কারের কাজ করছেন।

নগরীর শ্যামা সুন্দরী খাল ও কে.ডি ক্যানালে প্রতিদিন ৫টি গুরুত্বপূর্ন স্থানে ১০ জন করে মোট ১০০ জন  শ্রমিক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সকল ওয়ার্ডে ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধনের ঔষধ স্প্রে করা হয়েছেঅ হ্যান্ড স্প্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ড্রেন ও নালায় ঔষধ স্প্রে করা হচ্ছে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বেসরকারী ক্যাবল টিভি চ্যানেলে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ পালন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক বার্তা স্ক্রলে প্রচার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন ও লিফলেট বিতরন করছেন।

সকল মসজিদে ঈমাম সাহেব খুতবার আগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বার্তা প্রদান করেছেন। পরিচ্ছন্নতার জন্য  সিটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। চালু করা হয়েছে হটলাইন। যার নম্বর ০১৭৩৩-৩৯০১৫০।

সরেজমিন

সরেজমিন দেখা গেছে, শনিবার, ০৩ আগস্ট সকাল থেকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধন কাজ করছে ২০ নং ওয়ার্ডের গুড়াতিপাড়া ও কোতয়ালী থানা চত্ত্বর, ২১ নং ওয়ার্ডের, সেনপাড়া, ২২ নং ওয়ার্ডের গনেশপুর ও উত্তর বাবুখা, ২৪ নং ওয়ার্ডের, কামালকাছনা, খরমপট্টি, ২৫ নং ওয়ার্ডের মিস্ত্রিপাড়া এলাকা, ০৯ নং ওয়ার্ডের সিগারেট কোম্পানী এলাকার ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করছেন কর্মীরা।

এসময় দেখা যায়, ১১ নং ওয়ার্ডের রাজেন্দ্রপুর এলাকা, ২৭ নং ওয়ার্ডের পীরপুর কবরস্থান, বাবুপাড়া রোড এবং চিনিয়াপাড়া এলাকা, ২৯ নং ওয়ার্ডের দেওয়ানটুলী, কসাইটুলী ও গোসাইবাড়ী, ৩০ নং ওয়ার্ডের মাহিগঞ্জ, পশ্চিম খাসবাগ এলাকা, ৩৩ নং ওয়ার্ডের খা’র বাড়ির সামন, ১৮ নং ওয়ার্ডের কেরামতিয়া মসজিদের পাশে শ্যামাসুন্দরী ক্যানেল, ১৭ নং ওয়ার্ডের খলিফাটারী এলাকা, চেকপোষ্টের শ্যামাসুন্দরী ক্যানেল, ১৯ নং ওয়ার্ডের স্টেডিয়াম এবং পাশে কেডি ক্যানেল এবং শিমুলবাগ এলাকায় একদিকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা জঙ্গল পরিষ্কার করছেন। অন্যদিকে ফগার মেশিন ও স্প্রে দিয়ে মশক নিধনের ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে।

জেএম/রাতদিন