রংপুরে মাইশা আক্তার (৪) নামের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে জহুরুল হক রানা ওরফে ছক্কু (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল বুধবার নগরীর কেরানীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর রংপুর পিবিআইর সুপার এ বি এম জাকির হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
এ বি এম জাকির হোসেন গণমাধ্যম জানান, শিশুটির পরিবার ও অভিযুক্ত জহুরুল হক রানা প্রতিবেশী। মাইশা তাকে দাদু বলে ডাকত। ঘটনার দিন ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে ছক্কু মাইশাকে মোয়া কেনার জন্য দুই টাকা দেন।
মাইশা মোয়া কিনে আনলে ছক্কু কৌশলে তাকে বাড়ির ভেতর নিয়ে যায় এবং কয়েকবার চুমু দেয়। এ সময় মাইশা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ছক্কুকে আঘাত করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে বাঁশের সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মারা যায় মাইশা।
তিনি আরো জানান, এরপর বস্তায় শিশুটির মরদেহ ভরে বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। রাতে প্রতিবেশীর ডোবায় ফেলে আত্মগোপন করেন ছক্কু। মঙ্গলবার সকালে ওই ডোবার কিনারে মাইশার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
মাইশা রংপুর নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি সরকারপাড়া গ্রামের গ্রিল মিস্ত্রি মনোয়ার হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ওই দিনই মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। রংপুর পিবিআই ওই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে।
তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত জহুরুল হক রানাকে নগরীর কেরানীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য, ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে নিখোঁজ হয় মাইশা। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে খুঁজে না পাওয়ায় রাতে মাইকিং করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে ওই ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরআই/রাতদিন