রংপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ যুবদল-ছাত্রদলের ১১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা এ আদেশ দেন।
তারা হলেন রংপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহফুজ উন-নবী ডন, সাধারণ সম্পাদক লিটন পারভেজ, যুগ্ম সম্পাদক আতিকুল ইসলাম লেলিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জহির আলম নয়ন, অর্থ সম্পাদক রেজাউল করিম মিঠু। জেলা বিএনপির সদস্য শরিফুল ইসলাম বাবু, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম জীম, সহসভাপতি নোমান হাসান, মহানগর যুবদলের সদস্য বিপ্লব মিয়া, শাহীন হোসেন ও লাল মিয়া।
রংপুরের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক জানান, গত বছরের ৪ নভেম্বর রংপুরে মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে আদালতে হাজির করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। সংঘর্ষের ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে সকল আসামীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান তিনি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আফতাব হোসেন বলেন, ‘যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ নেতাকর্মী ওই ঘটনার সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন না। তারপরেও তাদের আসামি করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় রংপুরের এক নারী অধিকার কর্মীর দায়ের করা মানহানির মামলায় গত বছরের ৪ নভেম্বর রংপুর আদালতে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন জামিন নিতে আদালতে আসলে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এবি/০৬.০২.১৯