রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটিতে পুরাতন নেতাদের হাতে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এই কমিটির মধ্য দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব থেকে ভারমুক্ত হয়েছেন নতুন সভাপতি। এদিকে চার প্রবীণকে নতুন করে দায়িত্ব দেয়াতে রংপুরবাসী তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর রাত নয়টায় রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
রংপুর জেলার সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু। মহানগরের সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি ও সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল। নব-নির্বাচিত এই সভাপতি ও সম্পাদকের মাধ্যমে গঠিত কমিটি ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সম্মেলনের দ্বিতীয় কাউন্সিলররা সভাপতি ও সম্পাদকের নাম প্রস্তাবের পর প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতা হয়নি। পরে সকলের সম্মতিতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে কমিটি চূড়ান্ত হয়। এতে জেলা কমিটিতে সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু মনোনীত হয়েছে। এছাড়া মহানগর কমিটিতে সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি ও সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল।
তিনি জানান, জেলা ও মহানগর কমিটিতে সভাপতি ও সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন ৩৪ জন। এর মধ্যে জেলাতে সভাপতি পদে ৬, সাধারণ সম্পাদক পদে ৭ জন। মহানগরে সভাপতি ১০ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ প্রার্থী কাউন্সিলরদের সমর্থন চান। তবে কেউ কাউকে ছাড় না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কমিটি চূড়ান্ত করতে সিদ্ধান্ত নেন।
নতুন এই কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের এক নম্বর সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়কে। এর আগে জয়কে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নম্বর সদস্য করা হয়।
দীর্ঘ তের বছরের অপেক্ষা শেষে আজ (মঙ্গলবার) রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের এবং রংপুর মহানগরের নয় বছর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন বিকেল চারটায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সম্পন্ন হয়। পরে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রংপুর টাউন হল মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে তিন বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এনএ/রাতদিন