রংপুর জেলা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে পুষ্টি সূচকে অনেক পিছিয়ে এ জেলা। আজ সোমবার, ৩১ আগস্ট সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পুষ্টি সভায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
শিশু, কিশোর-কিশোরী ও গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উপর গুরুত্বাপারে করে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, এনজিওকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন।
জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায়, স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সরওয়ারুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণক আব্দুল কাদের, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান, কেয়ার বাংলাদেশ ও ইএসডিও’র কর্মকর্তারা।
সভায় বক্তারা বলেন, খাদ্যে রংপুর জেলা সয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টির সূচকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। মেধাবী জাতি গঠনে সকলের পুষ্টি নিশ্চিতের বিকল্প নেই। তাই ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে কাজ করলে দ্রæত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
সভায় পুষ্টি নিয়ে কাজ করা কেয়ার বাংলাদেশ ও ইএসডিও’র যৌথ উদ্যোগে গঠিত ‘জানো’ প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। প্রকল্পের আওতায় রংপুর জেলায় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি নিরাপত্তায় ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২১টি মাদ্রাসায় কিশোর-কিশোরী কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে তারা ওজন-উচ্চতা পরিমাপসহ স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবে। সেই সাথে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে কৈশোর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে জানো প্রকল্পটি।
সভা শেষে কিশোর-কিশোরী কর্নারের জন্য এলইডি টিভি, ওজন-উচ্চতা পরিমাপক যন্ত্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য করোনা প্রতিরোধী সরঞ্জাম বিতরন করা হয়।
এবি/রাতদিন