রংপুর নয়, নিম্নচাপ হয়ে জামালপুর দিয়ে ভারত যাচ্ছে ফণী

শক্তি কমে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। বর্তমানে দেশের সব সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

শনিবার, ৪ মে দুপুরে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাসুদ্দীন আহমেদ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশ এখন অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে এর বদলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বাংলাদেশের জামালপুর ও জামালপুরের আশপাশে অবস্থান করছে। সন্ধ্যার দিকে বা আরও কিছু সময় পর এটি ভারতের আসামের দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী আজ দুপুরের দিকে টাঙ্গাইল, পাবনা ও ময়মনসিংহে অবস্থান করছিল। এর আগে সকাল নয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি ফরিদপুর-ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ছিল।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফণীর কারণে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাষে জানানো হয়েছে।

ভারতের ওডিশায় আঘাত হানার ২১ ঘণ্টা পর আজ সকাল ছয়টার দিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অতিক্রম করে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। আরও উত্তর দিকে চলে গিয়ে সকাল নয়টার দিকে ফরিদপুর ও আশপাশের অঞ্চলে অবস্থান করছিল। এটি পরে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে দেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ সারা দেশে চলছে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি।

এর আগে গত কয়েকদির ধরে আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, ফণী বাংলাদেশে প্রবেশের পর উপকূল থেকে রাজশাহী অঞ্চলে হয়ে রংপুর-দিনাজপুর অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করবে। এর ফলে রংপুর বিভাগজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল প্রশাসন। বিভাগের বিভিন্ন জেলার নদী তীরবর্

এইচএ/রাতদিন