রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কর্মবিরতি, দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস বন্ধ

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে চলমান দ্বিতীয় শিফটের সম্মানী ভাতার সমস্যা নিরসনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার, ১ আগষ্ট দুপুর থেকে দ্বিতীয় শিফটের সকল কার্যক্রম থেকে তারা বিরত থেকে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে করে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া দ্বিতীয় শিফটের ১ম পর্বের ওরিয়েন্টশন ক্লাশসহ সকল পর্বের ক্লাশ গ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে কর্মবিরতির কারণ ব্যাখ্যা করে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ইন্দ্রজিত কুমার সাহা বলেন, ‘সরকারের ভিশন ও মিশন অর্জনের জন্য অমানবিক পরিশ্রম করে শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ ২য় শিফটের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন। এই অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো জনবল বৃদ্ধি করা বা পদ সৃষ্টি করা হয়নি। আমরা সরকারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুসারে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত মূল বেতনের ৫০% হারে সম্মানী ভাতা পেয়েছিলাম। কিন্তু গত বছরের জুলাই থেকে এক আদেশ জারির মাধ্যমে তা ২০১৯ স্কেলের মূল বেসিকের ৫০% নির্ধারণ করা হয়। নতুন এই আদেশ অমানবিক। আমরা আর দ্বিতীয় শিফট চাই না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পলিটেকনিক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

এবি/রাতদিন