মহামারি করোনার প্রভাবে ঘর থেকে বের হতে না পারা মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, ওষধ ও খাদ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হোম ডেলিভারি সার্ভিস কার্যক্রম শুরু করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। নির্ধারিত অটো চালকদের ফোন নম্বরে কল করে অর্ডার করলে প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী পৌঁছে যাবে বাড়ি।
বুধবার, ১ এপ্রিল দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিট পুলিশ কার্যালয় চত্বরে সেবামূলক এই কার্যক্রমের উদ্বোধন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিম কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ।
উদ্বোধনকালে পুলিশ কমিশনার বলেন, দেশের দুর্যোগময় এই পরিস্থিতিতে রংপুর মহানগরের মানুষ যেন করোনা ঝুঁকি ঘরের বাহিরে বের না হয়, এজন্য হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু করা হলো। আমরা সকলের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর সাথে সঙ্গরোধ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছি।
নগরীর যে কেউ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঘরে বসেই সরবারহ সুবিধা নিতে নির্ধারিত ৩৩ জন অটো চালকের ফোন নম্বরে অথবা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে চাহিদা পণ্যের অর্ডার করলে, অটো চালকরা নিজ দায়িত্বে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিবে।
এজন্য সুবিধাভোগীকে অটো চালককে তার ন্যায্য ভাড়া দিবেন। সঙ্গে ক্যাশ ম্যামো দেখে পণ্যের দাম পরিশোধ করবেন।
বর্তমানে এই সার্ভিস দিতে ৩৩ জন অটো চালককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নগরবাসীর সাড়া মিললে পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। একই সাথে সেবা কার্যক্রম সহজ করতে মোবাইল অ্যাপস চালুর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচার ব্যবস্থার কথা জানান আরপিএমপি কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ।
রংপুর নগরীতে প্রথমবারের মতো এমন ব্যতিক্রমী সেবামূলক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সচেতন মহল সস্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এসময় আরপিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মহিদুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) মো. ফারুক আহমেদ, সহকারি পুলিশ কমিশনার (ডিবি এন্ড মিডিয়া) মো. আলতাফ হোসেন, সহকারি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) ফরহাদ ইমরুল কায়েস, টিআই (প্রশাসন-ট্রাফিক বিভাগ) মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর মহানগরের ৩৩টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে যারা ঘরে অবস্থান করছেন তাদের বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
জেএম/রাতদিন