রংপুর বিভাগের পাঁচজেলাসহ দেশের ১১ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী ২৪ ঘন্টায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে বাসস পরিবেশিত এক খবরে জানানো হয়েছে। একই সময়ে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ রোববার, ১২ জুলাই বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, নাটোর, সিলেট, সুনা গঞ্জ এবং নেত্রকোণা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় যমুনা, কাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে এবং পদ্মা নদী- গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এছাড়া ব্রহ্মপুত্র-যমুনা,গঙ্গা-পদ্মা এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ নদীরসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। যা আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের সাঙ্গু,হালদা ও মাতামুহুরী নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অপরদিকে,দেশের ১০১ টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৬ টির, হ্রাস পেয়েছে,২৩ টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২ টি এবং বিপদসীমার উপরে রয়েছে ১৬ টির।
সারাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে- সুনামগঞ্জে ১৫০ মিলিমিটার, লালাখাল ১৪৮ মিলিমিটার, ঠাকুরগাঁও ১২১ মিলিমিটার, কমলগঞ্জে ১০৮ মিলিমিটার, মনু রেলওয়ে ব্রিজ ১০৪ মিলিমিটার, শেরপুর ৯২ মিলিমিটার, সিলেট ৯৫ মিলিমিটার, পঞ্চগড় ৯২ মিলিমিটার, শ্যওড়া ৯২ মিলিমিটার, নোয়াখালী ৮৫ মিলিমটার।
এবি/রাতদিন