রঙিন ব্যানার, বর্ণাঢ্য র্যালি, রংয়ের বাহারি ছটায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ছাত্রীদের পরনে রঙ-বেরঙের শাড়ি। ছাত্রদের গায়ে রঙিন পাঞ্জাবী। হাতে হাতে রঙিন প্ল্যাকার্ড-ফ্যাস্টুনে পুরো ক্যাম্পাস মেতে ওঠে অন্যরকম এক আনন্দের আতিশয্যে।
বুধবার, ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র নেতৃত্বে র্যালি দিয়ে শুরু হয় দিবসের কার্য ক্রম।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে নগরীর মডার্ণ মোড় প্রদক্ষিণ করে ১ নং কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এসে শেষ হয়। এতে সব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সুবিধার জন্য নতুন ৬টি বাসরুটের উদ্বোধন করেন ভিসি। এরপর বিকেল ৫ টায় প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী চন্দনা মজুমদার ও কিরণ চন্দ্র রায়ের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পরে ভিসি কেক কেটে, বৃক্ষ রোপন ও শুভেচ্ছা বাণী পড়ার মাধ্যমে দুইদিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এরপর বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হলেও শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় পৃথক দুইদিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে আজ র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এনএইচ/রাতদিন
উত্তরের মুখ