রামমোহন মার্কেটের সামনে আম বিক্রেতা হত্যা : ১৬ দিন পর মরদেহ তুলে ময়নাতদন্ত

রংপুর নগরীর রাজা রামমোহন ক্লাব মার্কেটের সামনে আম বিক্রির অপরাধে মারধরের শিকার হয়ে প্রাণ হারানো ক্ষুদ্র আম বিক্রেতা মানিক মিয়ার মরদেহ কবর থেকে পুনরায় তোলা হয়েছে। মারা যাওয়ার ১৬ দিন পর মরদেহ তুলে ময়না তদন্ত শেষে আবারও তা দাফন করা হয়।

বুধবার, ১৯ জুন দুপুরের দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসানের উপস্থিতিতে রংপুর সদর উপজেলার পালিচড়া থেকে নিহত মানিকের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মর্তা এসআই সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য মানিক মিয়ার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।’

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ৩১ মে দুপুরে রাজা রামহোন মার্কেটের সামনে দাড়িয়ে বাইসাইকেলে আনা বিক্রি করছিলেন মানিক মিয়া। এতে ক্ষুদ্ধ হন ওই মার্কেটের তৃতীয় তলায় থাকা সিসিলি নামের চাইনিজ রেস্টুরেন্টের মালিক আলতাফ হোসেন। বিতর্কের এক পর্যায়ে ওই আম বিক্রেতাকে বেদম মারপিট করেন আলতাফ। পরে উপস্থিত লোকজন মানিক মিয়াকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

তবে বাড়িতে মানিকে শুর হয় রক্তবমি। ফলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জুন মারা যান তিনি। পরে তাকে বাড়ির লোকজন দাফন করেন।

তার মৃত্যুর পর ঘটনা জানাজানি হলে নিহতের ভাই মাসুম মিয়া বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে সিসিলি চাইনিজের মালিক আলতাফ হোসেনকে।

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রংপুর জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে লাশের ময়না তদন্তের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার দুপুরে মানিক মিয়ার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হয়।

এইচএ/রাতদিন