রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: তিন দিনে যা ঘটলো

রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার আজ তৃতীয় দিন। শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য সব খবর রাতদিন. নিউজের পাঠকদের জন্য একীভূত করে উপস্থাপন করা হলো।

  • এখন পর্যন্ত দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক ছাড়া ইউক্রেনের অন্য যে জায়গাগুলো রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা যাচ্ছে সেগুলো হলো – রাজধানী কিয়েভের উত্তরে বেলারুস সীমান্তবর্তী কিছু অঞ্চল, খারকিভ শহরের আশপাশের অঞ্চল এবং দক্ষিণ দিকে ক্রাইমিয়ার উত্তরের কিছু অঞ্চল।
  • এর বাইরে ইউক্রেনের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে এখনো লড়াই চলছে বা সেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ এখনও বজায় আছে।
  • ফ্রান্স থেকে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে রুশ সৈন্যদের অগ্রাভিযানের বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে পশ্চিমের দেশগুলো।
  • ইউক্রেনে আটকা পড়া কয়েক হাজার ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে নিতে একটি বিমান রোমানিয়ায় পাঠিয়েছে ভারত।
  • রুশ অন্তর্ঘাতী গ্রুপগুলো রাজধানী কিয়েভের ভেতরে ঢুকে পড়েছে
  • কিয়েভের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের সেনাবাহিনী শহরের ওপর চালানো সবশেষ রুশ আক্রমণ প্রতিহত করেছে। তবে রুশ অন্তর্ঘাতী গ্রুপগুলো রাজধানীর ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
  • রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে তারা দক্ষিণ ইউক্রেনের শহর মেলিতোপোল দখল করেছে।
  • অন্যদিকে রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের নেতা রমজান কাদিরভ বলেছেন তিনি ইউক্রেনে তার যোদ্ধাদের পাঠিয়েছেন, যারা রুশ সৈন্যদের সাথে হাত মিলিয়ে যুদ্ধ করবে।
  • রুশ সৈন্যদের অগ্রাভিযান ঠেকাতে কিয়েভ শহরের উপকণ্ঠে বিভিন্ন স্থানে ইউক্রেনীয় সেনা ও বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবীরা অবস্থান নিয়েছে।
  • কিয়েভ শহরে বিকেল পাঁচটা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
  • প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলছেন তার বাহিনী এখনো কিয়েভ এবং অন্যান্য প্রধান শহরগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে।
  • জার্মানি বলছে, তারা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ইউক্রেনের কাছে জার্মানিতে তৈরি প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা তুলে নিয়েছে।
  • ব্রিটেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এ পর্যন্ত যুদ্ধে প্রায় ২০০ ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে যার মধ্যে তিনটি শিশুও আছে। আহত হয়েছে ১০০০ জনেরও বেশি।
  • জাতিসংঘ বলছে, গত ৪৮ঘন্টায় ১ লক্ষ ২০ হাজার লোক ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে। সূত্র: বিবিসি।