ওল্ড ট্রাফোর্ডে বৃষ্টি পিছু ছাড়ছে না। আর পাকিস্তানের উইকেট হারানোও বন্ধ হচ্ছে না। টেস্টের দ্বিতীয়দিনও বৃষ্টিতে কিছুসময় খেলা থাকে। বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে পাকিস্তানও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। চা বিরতিতে যাওয়ার সময় পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২১৫ রান। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে উইকেটে সাকুল্যে তখন টিকেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান ১০৮ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন। ধৈর্য্য নিয়ে কিভাবে বিপদের সময় দলের স্কোরকে সামনে বাড়াতে হয়- সেই উদাহরণ তৈরি করলেন এই ইনিংসে রিজওয়ান। দ্বিতীয়দিনের দ্বিতীয় সেশনে পাকিস্তান ৩ উইকেট হারায়, যোগ কওে ৬০ রান।
৫ উইকেটে ১২৬ রান নিয়ে পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয়দিনের খেলা শুরু করে। বৃষ্টির কারণে প্রথমদিন খেলা হয়েছিল মাত্র ৪৫.৪ ওভারের।
আগেরদিনের অপরাজিত ২৫ রান নিয়ে দ্বিতীয়দিন বেশ নিরাপদ ভঙ্গিতেই সামনে বাড়ছিলেন বাবর আজম। সিরিজের প্রথম ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিলেন পাকিস্তানের মিডলঅর্ডার এই ব্যাটসম্যান। এই টেস্টেও সে পথেই ছিলেন। কিন্তু এবার হাফসেঞ্চুরির খুব কাছ থেকে ফিরতে হলো তাকে। ৪৭ রানে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে বাবর আজম। জেমস অ্যান্ডারসন খানিক বাদে স্পিনার ইয়াসির শাহকে ফেরান ৫ রানে। শাহিন আফ্রিদি অপ্রয়োজনীয় রান নিতে গিয়ে শূন্য রানে রান আউট হন। স্পিনার কোটায় একাদশে ডম বেস থাকলেও এখনো এই টেস্টে বোলিংয়ের সুযোগ পাননি তিনি। ইংল্যান্ডের চার পেসারের বোলিং তোপের সামনেই ভেঙ্গে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। চার পেসারের প্রত্যেকেই উইকেট পান। তবে সবচেয়ে সফল ছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৩ উইকেট পান তিনি।
তিন টেস্টের সিরিজে ইংল্যান্ড প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে আছে।
এনএ/রাতদিন