লকডাউনের সুযোগ নিয়ে, তিস্তা সেচ খালের সরকারী জমিতে পুকুর খনন

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দেশের বৃহত্তম সেচ খালের অধিগ্রহণকৃত জমি দখল করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোডের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এর ফলে পানির চাপ বেশী হলে যে কোন সময় খালের তীর ধসে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে জমি সহ ব্যপক ফসলহানী হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনে কর্মরত এমএলএসএস ছমির উদ্দিন ও ছমির উদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম স্থানীয় কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড শৌলমারী পাড়ায় তিস্তা সেচ খালের অধিগ্রহণকৃত জমি দখল করে পশ্চিম তীরে পুকুর খনন করছে। এতে যে কোন সময় তীর ধ্বসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে জমি ও ফসলহানী হতে পারে।

অভিযুক্ত ছলিম উদ্দিন এলাকার মৃত আব্দুল হামিদ ওরফে কান্দুরা মুন্সির ছেলে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, বাধের তীর হতে প্রায় এক’শ ফিট জায়গা সরকারী অধিগ্রহণকৃত। তারপরেও ওই এমএলএসএস এর কোন তোয়াক্কা না করে খনন কাজ অব্যাহত রেখেছে।

সরেজমিন রবিবার, ৩ মে সকালে খালিশা চাপানী শৌলমারী পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা সেচ খালের পশ্চিম তীরে টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে এর আড়ালে প্রায় ৩০জন শ্রমিক মাটি খননের কাজ করছে। এসময় সেখান হতে চল্লিশোর্ধ একজন মহিলা বাইরে আসেন। নাম মর্জিনা বেগম। করোনায় যেহেতু লকডাউন ও সরকারী ছুটি চলছে তাই এই ফাঁকে কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান মর্জিনা বেগম।

সেখান হতে আরেকটু সামনে গিয়ে দেখা মেলে ছমির উদ্দিনের। প্লাস্টিকের চেয়ারে পা দোলাতে দোলাতে ছমির উদ্দিন বলেন, আমাদের এখানে এক একর জমি ছিল। সেচ খাল হয়ে সেখানেই জমিগুলো গেছে। তাই বাড়ী করতে সামনের মাটিগুলো দিয়ে পিছনের দিকটা ভরাট করছি। আর এগুলো তো আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি ছিল।

এবিষয়ে কথা হলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ডালিয়া ডিভিশন রবিন সিন ফিরোজ বলেন, ‘যেহেতু আজকে খবরটা পেলাম। আমি বিকালে যাব। সরেজমিনে দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। তারা দু’জনেই আমাদের পিয়ন। সার্ভিস রুল অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানিনা । এমন খনন কাজ করলে তা অপরাধ। আমি এখনি কাজ বন্ধ করতে লোক পাঠাচ্ছি।’

জেএম/রাতদিন