লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দুই রোগীকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার, ২৭ জুলাই আনন্দ রায় নামের ১৭ বছর বয়সী এক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি আদিতমারী উপজেলার আরাজি দেওডোবা গ্রামের কামিনী রায়ের ছেলে। আনন্দ প্রথম কেউ যিনি লালমনিরহাটে ডেঙ্গু আক্রান্ত হিসাবে শনাক্ত হলেন।
এদিকে আজ রোববার, ২৮ জুলাই সকালে একই হাসপাতালে লিটন (২৭) নামের আরেকজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের চওরাটারী গ্রামের নুরু হকের ছেলে। তিনি জ্বর নিয়ে আজ সকালে ঢাকা থেকে আসেন। হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়।
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কাশেম আলী ও সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. গোলাম মোহাম্মদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আনন্দ রায় বছর খানেক ধরে ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে চাকুরি করছিলেন। তবে কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ি আসেন। আর দুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তবে ওষুধ খেয়েও সুস্থ না হওয়ায় শনিবার বিকেলে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে লিটন ঢাকার একটি পারটেক্স কারখানায় কাজ করতেন।
হাসপাতালে ভর্তির পর দুজনকেই চিকিৎসক রোগ নির্ণয়ে কিছু পরীক্ষা দেন। পরীক্ষার রিপোর্টে তাদের ডেঙ্গুজ্বর ধরা পড়ে।
সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. গোলাম মোহাম্মদ জানান, অসুস্থ আনন্দ বর্তমানে ভালো আছে। সে ঢাকা থেকেই ডেঙ্গু রোগ নিয়ে এসেছে। আর লিটনকে ফলোআপে রাখা হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার ব্যবস্থা সদর হাসপাতালে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লালমনিরহাট শহরের একটি বেসরকারি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এই রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।’
সিভিল সার্জন ডা. কাশেম আলী বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু সনাক্তে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে।’ তিনি এ বিষয়ে আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
লালমনিরহাটের পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু জানান, মশা নিধনের ঔষধ পর্যাপ্ত আছে। যা এর আগেও ছিটানো হয়েছে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতির আন্দোলনে থাকায় এই মূহুর্তে নতুন করে ছিটানো যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ‘জেলায় আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান অব্যাহত আছে। এই কার্যক্রম আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে। আর ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা স্বাস্থ্য বিভাগ করবে।’
এইচএ/রাতদিন