লালমনিরহাটে একদিনেই দুইটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মঘাতি এই দুজনের একজন নাসিং ইন্সটিটিউটের ছাত্র অপরজন বেসরকারী এনজিও ব্রাকের নারী কর্মী।
মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী বিকেলে নার্সিং কলেজের আবাসিক হলের রুম থেকে আল আমিন সরকার আবির নামে এক ছাত্র ও রাত ৮টার দিকে শহরের হাড়িভাঙ্গা এলাকা থেকে সামছুন্নাহার শিমা (২৩) নামের ওই এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নিহত আবির টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শহর গোপিনপুর (আষারিয়া চালা) গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি বিএসসি ইন নার্সিং প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। কলেজের আবাসিক ছাত্রাবাসের দ্বিতীয়তলার একটি কক্ষে থাকতেন।
তার রুমমেট রনি জানান, দুপরে তাকে রুমে রেখে খেতে যান রনি। ফিরে এসে দরজা বন্ধ পেয়ে অনেক ডাকাডাকি করেও আবিরের প্রতুত্তর পাননি। তার ফোনও বন্ধ ছিলো। পরে রনি অধ্যক্ষকে খবর দেন।
অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষক ও হলে থাকা শিক্ষার্থীকে নিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করলে আবিরের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
অন্যদিকে নিহত এনজিও কর্মী শিমা’র বাড়ী মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানায়। থানার বুমদক্ষিন এলাকার আব্দুল কাদেরের মেয়ে তিনি।
শিমা হাড়ীভাঙ্গা এলাকায় এক শিক্ষকের বাসায় ভাড়া থাকতেন। কিছুদিন আগে দুর্ঘটনার শিকার হলে তিনি অফিস থেকে ছুটি নেন।
ওই বাসায় ভাড়া থাকা তার সহকর্মীরা জানান, অন্যান্য দিনের মতো তাকে বাসায় রেখে সবাই অফিসে যান। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে তার রুমটি ভিতর থেকে আটকানো দেখে সহকর্মীরা তাকে ডাকাডাকি করেন। অনেক ডাকাডাকি ও ফোনে কল করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানান তারা। এসময় জানালা খুললে সিলিং ফ্যানের সাথে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এই দুই আত্মহত্যা নিয়ে শহরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। দু’টি ঘটনাই আত্মহত্যা কীনা তা নিয়ে জনমনে নানা কল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম দুটি ঘটনাকেই আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা পোষণ করেছেন।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে ওসি জানান।