লালমনিরহাটে পুরাতন সিলেবাসে পরীক্ষা, কেন্দ্র সচিবসহ ১৭ জনকে অব্যহতি

লালমনিরহাটের একটি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্রে ১৯৩ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়েছে ২০১৮ সালের সিলেবাসে তৈরি প্রশ্নপত্রে। আজ সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব শফিকুল আলমসহ ১৭ জনকে পরীক্ষার পরবর্তি দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।

ওই ১৯৩ পরীক্ষার্থী সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর উচ্চ বিদ্যালয়, কাজিচওড়া উচ্চ বিদ্যালয়, হিরামানিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, পুরাতন সিলেবাসের অধীনে অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের আলাদা কক্ষে পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্র সচিব তা করেননি। ফলে ২০২০ সালের সিলেবাসের অধীনে অংশ নেয়া ওই কেন্দ্রের ১, ২, ৩, ২০ ও ২১ নং কক্ষের মোট ১৯৩ জন পরীক্ষার্থী ২০২০ সালের সিলেবাসের প্রস্তুতি নিলেও তাদেরকে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

পরীক্ষার শেষ সময় বিষয়টি কেন্দ্র সচিব জানতে পেরে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের কন্ট্রোলারসহ জেলা প্রশাসনকে অবগত করেন। বোর্ডের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ওই সকল পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র আলাদাভাবে বান্ডেল করে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে জেলা প্রশাসন কেন্দ্র সচিব এবং ওই সকল কক্ষে পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন কেন্দ্র সচিবকে বহিষ্কার করেন এবং কক্ষের পরির্শকদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলছে।

কেন্দ্র সচিব শফিকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক ওই সকল পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র আলাদা করে পাঠানো হয়েছে। তবে এসব পরীক্ষার্থীর ফলাফলে কোন প্রভাব পড়বে না।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।

জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, পরীক্ষার্থীদের ফলাফলে যাতে প্রভাব না পড়ে, তাই বোর্ডের সাথে কথা বলে উত্তরপত্রগুলো আলাদাভাবে পাঠানো হয়েছে।

এনএ/রাতদিন