ধুপগুড়িতে প্রথমবারের মতো মহান একুশে উদযাপন

ভারতের ধূপগুড়িতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। রাজবংশী-কামতাপুরি ভাষায় দিবসটি উদযাপন করা হয়।

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ধুপগুড়ির জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।   

কলা গাছে প্রদীপ জ্বালিয়ে, শহীদ বেদিতে ফুল আর মালা দিয়ে ভাষা শহীদদেরকে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।  এর আগে আমন্ত্রিত সকলকে পান-সুপারি দিয়ে বরণ করা হয়।

‘উত্তুরা সোত্ পত্রিকা’ গোষ্ঠি প্রথমবারের মতো এই আয়োজন করে।  

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাওয়াইয়া গান, রাজবংশী’কামতাপুরি ভাষার কবিতা, কিচ্ছা ও গল্প পাঠ করা হয়। সেই সাথে রাজবংশী-কামতাপুরি ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন শশীবালা অধিকারী, নরোত্তম প্রামাণিক, ভবেশ চন্দ্র রায়, পূর্ণিমা রায়, বিপুল রায়, সত্যজিত রায়।

ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন দূর্গা রায়, জিনাত আমন, জ্যোৎস্না রায়। ভাষা সম্পর্কে আলোচনা করেন শম্ভুজিত সিংহ, ডঃ নির্মল চন্দ্র রায় ও রঞ্জিত রায়।

অনুষ্ঠানে ডঃ নির্মল চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৮৭ সালে ধূপগুড়ির আলতাগ্রাম রেল স্টেশনে কামতাপুরি ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে দুইজন শহীদ হন। ময়নাগুড়ি আর রাজগঞ্জের ওই দুই শহীদ হলেন গজেন রায় ও জগদীশ রায়। যাদেরকে আজ মানুষ ভুলে গেছে।

জেএম/রাতদিন