শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি পার্বতীপুর আসবে জ্বালানি তেল, পাইপলাইন স্থাপন শুরু

 ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন প্রকল্পের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দুই বছর পর শুরু হয়েছে কাজ। আজ বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর দুপুরে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার সোনাপুকুরে এই পাইপলাইন স্থাপনের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসির চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক। বছর দুয়েক আগে ভিডিও কনফারেন্সে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

২০২২ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কাজ শেষ হলে ভারতের নুমালীগড় থেকে ১৩১ কিলোমিটার পথে সরাসরি দিনাজপুরের পার্বতীপুর তেল ডিপোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আনা হবে।

অনুষ্ঠান শেষে বিপিসির চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক জানান, এই পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ হলে ভারত থেকে সরাসরি বাংলাদেশে জ্বালানি তেল আসবে। এতে পরিবহন খরচ কম হবে এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের জ্বালানি তেলের সংকট হবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় বর্তমানে জ্বালানি সরবরাহ করা হয় পার্বতীপুর তেল ডিপো থেকে। এখানে মূলত তেল আসে বাঘাবাড়ি থেকে ট্রেনের মাধ্যমে। পাশাপাশি ভারত থেকেও মাঝেমধ্যে ট্রেনের মাধ্যমে তেল আসে। পরিবহন খরচ কমানো এবং মাঠ পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে ডিজেল (জ্বালানি) সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির বিষয়ে গত ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

 ভারতের শিলিগুড়ির নুমালীগড় তেল শোধনাগার কেন্দ্র থেকে ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন দিয়ে পঞ্চগড় হয়ে তেল পৌঁছাবে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের রেলহেড ডিপো পর্যন্ত। ওই পাইপলাইনে বছরে ৪৩ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল সরবরাহ করা যাবে।

পাইপলাইন স্থাপনে ৫২০ কোটি টাকা খরচের মধ্যে ভারত সরকারের অনুদান ৩০৩ কোটির সঙ্গে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন দেবে ২১৭ কোটি টাকা। এতে জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি দাম কমারও সম্ভাবনা রয়েছে। সময় কমার পাশাপাশি পাইপলাইনে ব্যারেল প্রতি খরচ ধরা হয়েছে মাত্র পাঁচ ডলার করে, যেখানে সড়কপথে কিংবা রেলপথে খরচ পড়তো ৮ ডলারেরও বেশি।

এইচএ/রাতদিন