সারাদেশে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।বিদায় নিচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। আগামী দুুদিন তাপমাত্রা বাড়বে। আর আগামী শুক্রবার রংপুর বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। শনিবার দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তাপমাত্রা কমলেও শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই।
আজ মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি আবহাওয়ার পূর্বাভাষে এমনটাই জানিয়েছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শৈত্যপ্রবাহ শেষ হওয়ার আগে কাঁপন ধরাচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, যাতে থার্মোমিটারের পারদ ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। গতকাল সোমবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এই মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
মাঘ মাসের মাঝামাঝিতে শুরু হয়ে এখন দেশের বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তবে আজ মঙ্গলবার থেকে তা প্রশমিত হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে শুক্রবার ও শনিবার ফের বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়বে। বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ তীব্র রূপ নেওয়ার শঙ্কা নেই। এখন তাপমাত্রা বাড়ছে, ধীরে ধীরে এর বিস্তারও কমে আসবে। আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকায় ফেব্রুয়ারির প্রথমে বৃষ্টির আভাস রয়েছে বলে জানান শাহনাজ সুলতানা।
তিনি বলেন, ৪-৫ ফেব্রুয়ারির দিকে বৃষ্টি হবে। এসময় রংপুর বিভাগে ভারী ও দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির প্রভাব কেটে গেলে ফের তাপমাত্রা কমবে। এ সময় শীতের অনুভূতি বাড়লেও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা নেই।
গতকাল সোমবার সীতাকুণ্ডসহ গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ফেনী, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলো এবং রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি মৌসুমের প্রথম দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এখন চলছে চলতি মৌসুমের চতুর্থ শৈত্যপ্রবাহ।
পূর্বাভাসে জানানো হয়, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা হতে পারে।