শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামালার পর একটি মসজিদে পেট্রোল বোমা হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। রবিবার, ২১ এপ্রিল রাতে পুত্তালুম জেলায় এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া বান্দারাগামা এলাকায় মুসলিমদের দুটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্পেনের সংবাদমাধ্যম এজেন্সিয়া ইএফই নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে, রবিবার দিনের বেলায় কলম্বোর গির্জা ও পাঁচতারকা হোটেলসহ আটটি স্থানে সিরিজ বিস্ফোরণের পর রাতেই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন মুসলিমরা।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি-র নথি অনুযায়ী, গির্জায় হামলার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার পুলিশকে আগেই সতর্ক করেছিল ‘একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা’। ১১ এপ্রিল পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুনদারা দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সতর্কতা পাঠান। এতে বলা হয়, ‘একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত (এনটিজে) প্রখ্যাত চার্চ এবং কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।’ যদিও এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
শ্রীলঙ্কা সরকার এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে রবিবারের সিরিজ বিস্ফোরণের জন্য কাউকে দায়ী করেনি। তবে ইতোমধ্যে ন্যাশনাল তাওহীদ জামাতের একজন নেতাকে এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইসরায়েলভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম।
সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দেশ শ্রীলঙ্কার মাত্র ছয় শতাংশ মানুষ ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দেশটির দুই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী তামিল ও সিংহলিজ উভয়ের মধ্যেই এই ধর্মাবলম্বীদের দেখতে পাওয়া যায়। এক দশক আগে গৃহযুদ্ধ অবসানের পর দেশটিতে প্রায় নিমমিত বিরতিতে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরের মার্চে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সিংহলি সম্প্রদায়ের সদস্যরা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মসজিদ ও সম্পত্তিতে হামলা শুরু করলে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। রবিবারের ঘটনায় উত্তেজনা ও গুজব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। দুই দিনের জন্য সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।সুত্র: গার্ডিয়ান, রয়টার্স, বাংলা রিপোর্ট।
জেএম/রাতদিন