সন্দেহজনক মৃতদেহ সৎকারে সহমর্মিতার বন্ধনে ১০ জন

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও। কিন্তু আতংকিত গ্রামবাসী সাধারন মৃত্যুকেও করোনায় মৃত ভেবে লাশ দাফন-কাফনে অংশ নিচ্ছে না। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে পীরগঞ্জ উপজেলার ১০ জন ব্যক্তিকে নিয়ে লাশ দাফন-কাফনের জন্য ‘উপজেলা মৃতদেহ সৎকার কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ২ জন হিন্দুও রয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিএমএ মমিন ওই কমিটি অনুমোদনও করেছেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবারর কল্যান মন্ত্রনালয় সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কিছু কিছু রোগের মুত্যুকে করোনাজনিত মৃত্যু ভেবে আতংকের কারণে মৃতদেহ সৎকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে লোকজন ভীত সন্ত্রস্ত ও অনীহা প্রকাশ করছে। এ প্রেক্ষিতে উপজেলায় করোনায় মৃত্যু নয় এমন মৃত দেহ সৎকারের লক্ষ্যে কমিটি গঠনে মন্ত্রনালয়টি ইসলামী ফাউন্ডেশনকে নির্দেশ দেয়।

এরই প্রেক্ষিতে রংপুরের ইসলামী ফাউন্ডেশন উপজেলায় স্থানীয় পর্যায়ে মৃতদেহ সৎকারে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের অনুরোধ করে। গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ঈমাম হাফেজ রফিকুল ইসলাম ফারাজী ও মুয়াজ্জিন আব্দুল মালেক, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও আমিরুজ্জামান সুমন, সমাজসেবক সাজেদুল ইসলাম ব্যবসায়ী হায়দার আলী ও শ্রী প্রীতম সিংহ, উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা শাম্মী আক্তার সোমা, সুরাইয়া সালমা জাফরিন এবং শ্রীমতি তৃপ্তি রানী।

উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এদেরকে প্রশিক্ষণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিএমএ মমিন বলেন, এই দুর্যোগের মধ্যে মাধারন মৃতদেহও সৎকারে মানুষ যেন ভীত না হন সেজন্য উপজেলার ১০ ব্যক্তিকে নিয়ে ‘উপজেলা মৃতদেহ সৎকার কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

সহমর্মিতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এই মহতি কাজে সম্পৃক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

জেএম/রাতদিন