সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত চেয়ার লাথি মেরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. লতিফুর রহমান রতন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও।
মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা শহরের পাবলিক হলে চলছিল ‘সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ মতবিনিময় সভা ও মা সমাবেশ’ অনুষ্ঠান ।
অনুষ্ঠানে আসেন মোহনগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. লতিফুর রহমান রতন। তিনি এসে সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত আসনগুলোতে বসে পড়েন তাঁর লোকজন নিয়ে। এসময় সেখানে যাওয়া সাংবাদিকরা দাড়িয়ে থাকেন।
এই অবস্থায় বিব্রত আয়োজক কমিটি সাংবাদিকদের বসার জন্য কিছু প্লাষ্টিকের চেয়ার দেন সামনের সাড়িতে। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। মেয়র মো. লতিফুর রহমান রতন ক্ষীপ্ত হয়ে লাথি মেরে সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত বসার চেয়ার ফেলে দেন।
একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এ সময় মেয়র লতিফুর তার সামনের চেয়ারগুলোতে সাংবাদিকদের বসতে দেয়ায় তিনি রেগে যান। পরে সাংবাদিকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে চেয়ারে লাথি মেরে ফেলে দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এসএম আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল প্রমুখ।
ওই ঘটনার পর সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে বাইরে এসে প্রতিবাদ জানান। বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের শান্ত করতে বিষয়টি সমাধানে আমন্ত্রিত অতিথিরা সাংবাদিকদের নিয়ে জেলা প্রেসক্লাবে সমাধানের জন্য বসেন ।
একপর্যায়ে মেয়র লতিফুর রহমান সেখানে এসে হাজির হন। পরে তিনি তার এমন কর্মের জন্য হাত জোড় করে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান ।
লতিফুর রহমান ভুল স্বীকার করে বলেন,‘আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি বুঝতে পারিনি। আমাকে ক্ষমা করে দিন। এমন আর হবে না।’
অভিযোগ রয়েছে,মেয়র লতিফুর এর আগেও বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন মন্তব্য করেছেন।
এসকে/রাতদিননিউজ