প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলে বোমা পেতে রেখেছিলেন হুজি নেতা মুফতি হান্নান। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে। এটি ২০০০ সালের ২০ জুলাইয়ের ঘটনা।
তবে পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেন স্থানীয় চায়ের দোকানদার বদিউজ্জামান সরদার। ফলে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।
সেই বদিউজ্জামান সরদারকে ১৯ বছর পর পুরস্কৃত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাতে তুলে দিলেন ৫০ লাখ টাকার চেক।
জানা গেছে, ওই জনসভার আগের দিন সকালে সভাস্থলের পাশের চায়ের দোকানদার বদিউজ্জামান সরদার পুকুরে চায়ের কেতলি ধুতে গিয়ে একটি তার দেখতে পান। আশপাশের লোকজনকে ডেকে তিনি তারটি দেখান। খবর পেয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে তল্লাশি শুরু করেন। মেলে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা।
এরপর কেটেছে প্রায় ১৯টি বছর। ওই চা দোকানি অনেক চেষ্টা করেও শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
তবে সম্প্রতি বদিউজ্জামান সরদার উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা সোহরাব হোসেন হাওলাদারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান।
জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি বদিউজ্জামান সরদার প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। আর প্রধানমন্ত্রীও তার সাথে মন খুলে কথা বলেন।
পরবর্তিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দপ্তরে বদিউজ্জামানের হাতে ৫০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
উৎফুল্ল মনে বদিউজ্জামান সরদার বলেন, ‘১৯ বছর চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনো নেতাই আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দেয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর সাথে আমার দেখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মন খুলে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আমাকে ৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন।’ সূত্র : বাংলারিপোর্ট
এমএইচ/০৮.০২.১৯