সরকার যখন সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে তৎপর, করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসন যখন রাতদিন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে, ঠিক তখনি বোচাগঞ্জ উপজেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বসেছে সেতাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সাপ্তাহিক হাট। যা থেকে ঘটতে পারে ভয়াবহ সংক্রমণ।
সোমবার, ৬ এপ্রিলও এমনটাই দেখা গেছে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ হাটে। যুগ যুগ ধরে চলা জমজমাট এই হাটে যেন করোনা সংক্রমনজনিত কোন সচেতনতাই নেই।
গত ২৯ মার্চ রবিবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বোচাগঞ্জ উপজেলার সকল হাটবাজারসহ সেতাবগঞ্জের সাপ্তাহিক সোমবারের হাটটি বন্ধের মাইকিং করা হয়। এতে ৩০ মার্চ সোমবার সেতাবগঞ্জের সাপ্তাহিক হাটবাজারটি সম্পূর্ন বন্ধ থাকে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ওই মাইকিংএ পরর্বতী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উপজেলার সকল হাটবাজার বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয়া হলেও আজ সে নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই সাপ্তাহিক হাটটি জমজমাটভাবে বসে।
গোটা দেশ যখন প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ রোধে একযোগে কাজ করছে, সকল শ্রেণীপেশার মানুষ যেখানে একাট্টা হয়ে কাজ করছেন। সেখানে সেতাবগঞ্জ যেন ভিন্ন গ্রহের একটি ভুখন্ড। যেখানে সচেতনতা নেই, ফলে প্রশাসনের তদারকী কাজে আসছে না খুব একটা।
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী গণসচেতনা সৃষ্টিতে নিরলস ভাবে কাজ করলেও জনসাধরণের মাঝে তার কোন প্রভাব পড়ছে না।
অবশ্য পরে বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান সংবাদ পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় চলমান হাটটি বন্ধ করে দেয়।
জেএম/রাতদিন