সরকারি নির্দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে । বর্তমানে সকল শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে নিজ নিজ বাড়িতে। অথচ নীলফামারীর সৈয়দপুরের প্রত্যন্ত পল্লীতে গিয়ে চোখে পড়লো অন্য রকম এক দৃশ্য।
এখানকার এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক দিয়ে একে একে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে। তাদের সকলের গায়ে প্র্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পোষাক। আর সব শিক্ষার্থীর হাতে একটি করে প্যাকেট। ওই প্যাকেটে রয়েছে চাল, ডাল, আলুসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য সামগ্রী।
বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল অভাবিত এ দৃশ্য দেখা যায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাজারীহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাজারীহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অস্বচ্ছল পরিবারের দেড় শত শিক্ষার্থীর মাঝে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিষ্ঠানের মাঠে শিক্ষার্থীর মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছিল।
কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে মাঠে টেবিলের ওপর বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী প্যাকেটের স্তুপ। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান চৌধুরীসহ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী তদারকি করছিলেন। কলেজ মাঠে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা পর্যায়ক্রমে সামনে দিকে এগিয়ে গিয়ে টেবিলের ওপর রাখা খাদ্য সামগ্রীর একটি করে প্যাকেট তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় কথা হলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান চৌধুরী জানান, প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করা যায় কিনা এ ভাবনা থেকে তাদরে পাশে দাড়ানোর এই আয়োজন। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মিলে প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছ পরিবারের শিক্ষার্থীদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। মূলতঃ এটি আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত উদ্যোগ।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের উপহার এটি। আগামীতে প্রতিষ্ঠানের সকল অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
উত্তরের মুখ