নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রবেশপত্র না পেয়ে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ৫১ শিক্ষার্থী। ‘একাডেমিক স্বীকৃতি নেই’ এমন একটি বিদ্যালয় থেকে তারা ফরম পূরণ করেছিল।
শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় ওইসব শিক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা ছিল।
এ ঘটনায় প্রজাপতি নামের ওই স্কুলের পরিচালক শাকিল আহমেদ ও সহকারি শিক্ষক মো. আলিম হোসেনকে শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারি রাতে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, শহরের হাতিখানা এলাকায় ২০০৯ সালে স্কুলটি গড়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠানটির পাঠদানের কোন অনুমতি নেই, নেই একাডেমিক স্বীকৃতি। এরপরও শিক্ষার্থী ভর্তি করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থায় এসএসসি পরীক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়।
এজন্য ওই ৫১ শিক্ষার্থীর প্রতিজন ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার করে টাকা দিতে হয় প্রজাপতির পরিচালককে। চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য তাদের ফরম পূরণও করা হয়।
স্কুলের পরিচালক শাকিল আহমেদ দাবি করেন, এসব শিক্ষার্থীদের দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নওখৈর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ফরম পূরণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বোর্ড থেকে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেয়ার কথা থাকলেও তা পাওয়া যায়নি।
সৈয়দপুর থানার ওসি মো. শাহজাহান পাশা জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
সৈয়দপুরের ইউএনও এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে পারেনি এমন ১৫ শিক্ষার্থীর সই করা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি’।
এইচএ/০২.০২.১৯