সৈয়দপুরে করোনায় আরও এক মৃত্যু, আক্রান্ত বেড়ে ৫০

নীলফামারীর সৈয়দপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত ২৭ জুন তিনি মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

গত বুধবার, ১ জুলাই দিবাগত রাত আটটায় রংপুর সদর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আব্দুর রাজ্জাক (৮৫) নামের ওই ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। তার বাসা সৈয়দপুর শহরের টেকনিক্যাল কলেজপাড়ায়। তবে তাঁর গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায়।

এ নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল – ২ এ। আর করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০-এ।

জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক (৮৫) দীর্ঘদিন যাবৎ উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে ভূগছিলেন। গত ২৭ জুন তিনি মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হন।

পরদিন ২৮ জুন করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর পরদিন ২৯ জুন তাঁর করোনা ভাইরাস পজিটিভ ফলাফল আসে। পরবর্তীতে তাঁকে রংপুর সদর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ জুলাই রাত আটটায় মারা যান তিনি।

ওই দিনই রাত তিনটায় তাকে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৩১ মে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের নয়াটোলা এলাকার বাসিন্দা হাজাী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে সিদ্দিক বানিয়ার ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. সাহেদুজ্জামান সাঈদ (৩০)।

সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জেএম/রাতদিন