সৈয়দপুরে চাঁদবাজের হামলায় জেলা পরিষদ সদস্য আহত

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে নীলফামারী জেলা পরিষদ সদস্য মো. শামীম চৌধুরীর সৈয়দপুর শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় শামীম চৌধুরী ও তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সৈয়দপুর সরকারী কলেজের প্রভাষক আবু হায়াত মো. সামসুর রহমান ওরফে হেনরীকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

গত রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শহরের বাস মালিক সমিতির কার্যালয় সংলগ্ন এলাকার নিজ বাসভবনের নীচতলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জনৈক শাওনের নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয়।

চাঁদাবাজদের এ হামলায় ও মারপিটের ঘটনায় শামীম চৌধুরী ও তাঁর পুত্র হেনরী মাথায় ও চোখে মারাত্মক জখম হন।

সৈয়দপুর থানায় দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, নীলফামারী জেলা পরিষদ সদস্য মো. শামীম চৌধুরীর সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুরে বাস মালিক সমিতির কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এস. রহমান এন্টারপ্রাইজ নামে তাঁর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তিনি সার, সিমেন্ট ও কীটনাশক বিক্রি করেন। ঘটনার দিন রোববার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার সময় তিনি (শামীম চৌধুরী) ও তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র আবু হায়াত মো. সামসুর রহমান ওরফে হেনরী ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে প্রতিদিনের মতো হিসাব নিকাশ করছিলেন।
এ সময় শহরের নিয়ামতপুর জুম্মাপাড়া এলাকার জনৈক শাওনের নেতৃত্বে মো. ইপতি ও মো. সোহাগ জেলা পরিষদ সদস্য মো. শামীম চৌধুরীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আকস্মিক ঢুকে পড়ে এবং এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

এ সময় শামীম চৌধুরী দাবিকৃত এক লাখা টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে চাঁদাবাজরা তাঁর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং শার্টের ধলার ধরে কিলঘুষি মারতে থাকে। এ সময় পাশে বসে থাকা তাঁর ছেলে হেনরী বাবাকে রক্ষা করতে গেলে চাঁদাবাজরা তাঁর ওপর চড়াও হয়। পরবর্তীতে হামলাকারীরা রড দিয়ে শামীম চৌধুরী ও তাঁর ছেলেকে আঘাত করে। এতে উভয়ে মাথায় মারাত্মক জখম হন।

এ সময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারী চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের ও পরিবারের লোকজন তদের উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হেনরী সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এতে শামীম চৌধুরী মাথায় ও চোখের আঘাতপ্রাপ্ত হন।

এ হামলা ঘটনায় ব্যবসায়ী ও নীলফামারী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম চৌধুরী নিজে বাদী হয়ে গত রোববার রাতেই তিনজনের নামের সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এতে শহরের নিয়ামতপুর জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বাবলু ছেলে মো. শাওন (২৮) একই এলাকার মো. সোহাগের ছেলে মো. ইপতি (২৭) ও একই এলাকার লিটন মিস্ত্রীর ছেলে তুষারকে আসামী করা হয়।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।