নীলফামারীর সৈয়দপুরে শোয়ার ঘর থেকে নুপুর আক্তার (৮) নামে এক শিশু কন্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকাবাসী বলছে, জ্বীন তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছে জ্বীন।
শুক্রবার, ৩ এপ্রিল বিকেলে শহরের রসুলপুর এলাকায় একটি রেলওয়ে কোয়ার্টার থেকে
তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মচারী নুর মোহাম্মদ। তিনি শহরের ওই এলাকায় রেলওয়ের একটি কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তাঁর এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে বড় নুপুর। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে।
ঘটনার দিন গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে তাঁর বাবা-মা রেলওয়ে কোয়ার্টারের বাসার একটি কক্ষে শুয়ে পড়েন। আর অপর একটি কক্ষে শিশু নুপুর অবস্থান করছিল।
বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে নুপুরের মরদেহ কোয়ার্টারের বাসার শোয়ার ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন তার বাবা-মা। তারা দ্রæত তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা দেন।
পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খালেদ ফিরোজ নয়ন লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরি করেন। তিনি জানান, লাশের গলায় কাপড় পেঁচানোর হালকা কালচে আঘাতে চিহৃ পাওয়া যায়। শনিবার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।
এলাকার একটি সূত্র জানায়, শিশু কন্যা নুপুরের গায়ে জ্বীনের আঁচর ছিল। জ্বীনেই তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছে বলে এলাকার অনেকের ধারণা।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান জানান, এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃতু মামলা (ইউডি) হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।