প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমনের আশংকা থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ত্রাণ সামগ্রী না পেয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌরসভা এলাকার কর্মহীন, গরীব, অসহায় ও দুস্থ মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। খাদ্যের দাবীতে তারা নেমে আসছেন সড়কে, করছেন মানববন্ধন।
শনিবার, ১১ এপ্রিল এসব বিক্ষুদ্ধ কর্মহীন মানুষ ত্রাণের দাবিতে সৈয়দপুর পৌরসভার পৃথক পৃথক স্থানে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করে। এর আগে গত শুক্রবারও মানববন্ধন করে রসুলপুর এলাকার বাসিন্দারা।
এ সময় আইন-শৃংখলাবাহিনীর সাথে অবরোধ সৃষ্টিকারী বিক্ষুদ্ধ লোকজনের বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহিন হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১টা থেকে সৈয়দপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা সৈয়দপুর-নীলফামারী সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। সহ¯্রাধিক মানুষের এ অবরোধের কারণে সৈয়দপুর-নীলফামারী সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। অবরোধকারীরা অবিলম্বে তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের দাবি জানিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
অবরোধের খবর পেয়ে প্রথমে আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ সেখানে গিয়ে অবরোধ সৃষ্টিকারী উত্তরা আবাসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আবাসনের বাসিন্দাদের তালিকা করে অবিলম্বে ত্রাণ বিতরণের আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়। সড়কে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এছাড়াও এদিন সকালে ত্রাণের দাবিতে সৈয়দপুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বসুলপুর এলাকার গরীব অসহায় কর্মহীন মানুষ শহরের চিনি মসজিদ এলাকায় মানববন্ধন করেন। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশের সদস্যরা গিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়া লোকজনদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলেও সৈয়দপুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকার লোকজন ত্রাণের দাবিতে এলাকার বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সৈয়দপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহিন হোসেন বলেন, সরকারিভাবে তিনি যৎসামান্য ত্রাণের চাল পেয়েছেন তা যথাযথভাবে বিতরণ করেছেন। নতুন বরাদ্দ পেলেই শুধুমাত্র ত্রাণ বিতরণ করা যাবে বলে জানান তিনি।