করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে উর্দূভাষী ক্যাম্পের কর্মহীন মানুষকে ঋণ সুবিধা ও বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তার দেওয়ার মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায় এবং প্রলুব্ধ করার দায়ে এক যুবকের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার ওই অর্থদন্ড দেন। অর্থদন্ড প্রাপ্ত যুবকের নাম মো. শাহীদ হোসেন তাজ।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, শহরের নতুন বাবুপাড়া দূর্গামিল ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ফারুকের ছেলে শাহীদ হোসেন (তাজ)। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে সে শহরের হাতিখানা ঊর্দূভাষী (বিহারী) ক্যাম্পে যায়। সেখানে সে নিজেকে একটি এনজিওর কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। আর বর্তমান করোনা ভাইরার পরিস্থিতিতে তাঁর এনজিও থেকে ক্যাম্পে বসবাসকারী ঊর্দূভাষী পরিবারগুলোকে বিনা জামানতে এবং সহজ শর্তে ২০ হাজার টাকা করে ঋণ ও বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার মিথ্যে প্রলোভন দেখায়।
আর এনজিও’র সদস্য হওয়ার জন্য শুধুমাত্র একশত টাকা করে দিতে বলে। তাঁর এমন কথায় উর্দূভাষী পরিবারের লোকজন সরল মনে বিশ্বাস করে এক শত টাকা করে দিয়ে এনজিওর সদস্য হয়।
পরবর্তীতে তাঁর কথাবার্তায় ও আচারআচরণে আতিয়ার রহমান নামে এক যুবকের মনে সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে অবগত করেন। পরবর্তীতে ওই সংবাদকর্মী তৎক্ষণাৎ বিষয়টি সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে জানান।
পরে তারা এসে ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নানা রকম অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মিথ্যে প্রলোভন দিয়ে জনগণকে প্রলুব্ধকরণের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে শাহীদ হোসেন (তাজ) এর পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।