সৈয়দপুরে প্রতিবন্ধী ‘ফকির’ এখন স্বচ্ছন্দে চলাচল করবে, পাশে প্রশাসন

তার নামই ফকির। বয়স ১৫। শারীরিক প্রতিবন্ধী। ভালমতো হাটতে চলতে পারে না। দুই পা একটু বাড়াতেই আবার বসে যেতে হয় তাকে। ঠিকভাবে কথাও বলতে পারে না সে। এমনি এক প্রতিবন্ধীর খোঁজ পেয়ে তাঁর জন্য একটি নতুন হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করেন সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিমানবন্দর পশ্চিমপাড়ার রং মিস্ত্রি আমিনুল ইসলাম ও গৃহিনী ওয়াজিফা বেগম। ওই দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে ছোট ফকির (১৫)। সে জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। হাঁটাচলা করতে পারে না। কথাও বলতে পারে না। ফলে মাটিতে শুয়ে বসে সারাদিন কাটে তার।

এ অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সৈয়দপুর ইউনাইটেড ভলান্টিয়ার এসোসিয়েশনের (সুভা) সভাপতি নওশাদ আনসারীর মাধ্যমে খোঁজ পেয়ে তাঁর জন্য একটি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করেন উপজেলা প্রশাসন।

সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে গত বুধবার বিকেলে প্রতিবন্ধীকে ফকিরকে হুইলচেয়ার হস্তান্তর করা হয়। সৈয়দপুর নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ উপস্থিত থেকে ওই হুইলচেয়ারটি প্রতিবন্ধী ফকিরকে তুলে দেন। এ সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাওয়া খাতুন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সৈয়দপুর ইউনাইটেড ভলান্টিয়ার এসোসিয়েশনের (সুভা) সভাপতি নওশাদ আনসারী ও প্রতিবন্ধী মো. ফকিরে মা ওয়াজিফা বেগম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন ।

ছেলের এই প্রাপ্তিতে আপ্লুত তার মা ওয়াজিফা বেগম। তিনি বলছিলেন, এতোদিন একটি হুইলচেয়ারের জন্য কতো না কষ্ট করেছে আমার ছেলেটি। এখন থেকে আমার ছেলেটি হুইলচেয়ারে বসে সবখানে চলাফেরা করতে পাবরে।

সৈয়দপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাওয়া খাতুন বলেন, এ রকম একজন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সেবায় আমরা সব সময় আছি। ইউএনও স্যারের মাধ্যমে যখনি একজন প্রতিবন্ধী হুইলচেয়ারের অভাবে কষ্ট করছে শুনেছি, তখনই ওই প্রতিবন্ধীর জন্য একটি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ বলেন, প্রতিবন্ধী ফকিরের হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে অনেক ভাল লাগছে।

উপজেলা প্রশাসন সব সময় সমাজের অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়ানোর এই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে বলে জানান ইউএনও।

জেএম/রাতদিন